এবিএনএ : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে বিএনপি এখন গুজবের আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশ চায়নি তারা দেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। একের পর এক গুজব ছড়াচ্ছে। তারা পদ্মা সেতু, ছেলে ধরা, হারপিক ও ব্লিচিং পাউডারের মতো নানা গুজব ছড়িয়ে এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও গুজব ছড়াচ্ছে। এরা রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে এখন গুজবের আশ্রয় নিচ্ছে। আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এবং তার স্বাধীনতাবিরোধী দোসরেরা গুজবের আশ্রয় নিচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, সমাজে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। যারা দেশবিরোধী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের এসব গুজব সাময়িক বুদ বুদ তৈরি করতে পারে, কিন্তু এগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে নাকি ডেঙ্গু মশা চলে যাবে, কতিপয় বিএনপি নেতার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ বক্তব্যের মাধ্যমে তারা এটাই প্রমাণ করেছেন যে, রাজনৈতিকভাবে তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। তারা বলছেন খালেদা জিয়ার মুক্তি নাকি আমরা চাই না। খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আইনি লড়াইয়ে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বা সরকারের তো কোন বাধা নেই।’ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এসব কথা না বলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইটা জোরদার করুন। আপনাদের আইনজীবীদের মধ্যে যে নানা ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে তা কাটিয়ে তাদের ঐক্যবদ্ধ করুন। তাহলে হয়তো আইনি লড়াইটি জোরদার হবে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার। সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধা প্রমুখ।